SSC 2022 Bangla Assignment Answer - Class 10 (4th week)

SSC 2022 Bangla Assignment

SSC 2022 Bangla Assignment Answer has been published. SSC Assignment 2022 Bangla is scheduled for 1st, 4th, 8th, 12th, 16th, 21st and 25th week. A total 7 assignments on Bangla subject have been scheduled for Cass 10 Assignment 2021.

SSC Students will complete the SSC Assignment 2022 for Bangla assignment within the stipulated time and submit it to their school. Bangla 1st Paper Teacher will be evaluate the assignment and provide feedback. Besides, he/she will identify the weak points of the student and give instructions to solve them.

SSC 2022 Bangla Assignment

The Bangla subject will be completed through a total of 7 assignments for the Class 10 students. The syllabus of Bangla 1st paper and Bangla 2nd paper will be completed through these 7 assignments. The Bangla 1st and 2nd assignments have already been completed. Bangla 3rd Assignment will be published for 8th week.

Along with the publication of SSC Bangla Assignment, evaluation guidelines or rubrics have also been published. There are detailed instructions on how to evaluate teachers.

SSC Assignment 2022 Bangla 4th Week Assignment

SSC 2022 Bangla Assignment 4th week

4th Week Assignment Answer

SSC 2022 Bangla Assignment Answer 4th week

 

SSC Bangla Assignment 2022 Answer 4th week

Class 10 Bangla Assignment Answer 2021 4th week

SSC Bangla Assignment 1st Week

SSC Bangla Assignment 1st week

1st Week Assignment Answer

১. বাক-প্রতিবন্ধী সুভা তাঁর পরিবার ও সমাজ থেকে যে আচরণ পেয়েছে এর বিবরণঃ

সুভা। ভালোবেসে নাম রাখা হয়েছিল ভুসাষিণী। ছোট বেলা থেকেই সুভা তাঁর পরিবার ও সমাজ থেকে পেয়ে এসেছে অবহেলা আর লাঞ্ছনা। কারণ সুভা ছিল বাক প্রতিবন্ধী । পরিবার থেকে সকলে মনে করত সুভা বিধাতার অভিশাপস্বরূপ জন্মগ্রহণ করেছে। সুভা তাই নিজেকে সকলের নিকট থেকে আড়াল রাখত। পিতার কাছ থেকে ভালোবাসা পেলেও মায়ের কাছ থেকে তেমন ভালোবাসা সুভা পায়নি। তাঁর কারণ হল সুভার বোবা হয়ে জন্মলাভ করাকে তাঁর মা গর্ভের কলঙ্ক মনে করত। তাই একটা বিরক্তিরভাব সর্বদাই সুভার উপর ছিল। সুভার কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিল না। তাই সে কাজের অবসরে কখনো নদীর তীরে বসে থাকতো আবার কখনো গোয়ালের গাভিদের সাথে সময় কাটাত। সুভার এরূপ নিসঙ্গতা থেকে এটা স্পষ্টই বলা যায় সুভাকে সামাজিকদিক থেকে লাঞ্ছনা আর অবহেলা সহ্য করতে হয়েছি। পরিবারের রক্তচক্ষুর শাসন সহ্য করতে না পেরে সুভা বাকশক্তিহীন গাভীর কাছে গিয়ে মর্মবেদনা প্রকাশ করত। এভাবেই অবহেলা অনাদরে ছোট সুভা আস্তে আস্তে বড় হয়ে উঠলো। কন্যাভারগ্রস্ত পিতামাতার চিন্তা যেমন বাড়তে লাগলো অন্যদিকে সমাজের লোকের নিন্দা যেন সুভার জীবনে  মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উঠলো। সমাজে রটে গেল সুভাকে একঘরে করে দেওয়ার গুঞ্ছন । 

 

২. সুভার প্রতি পরিবার ও সমাজের প্রত্যাশিত ইতিবাচক আচরণঃ

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সুভা গল্পে প্রতিবন্ধী মানুষের আশ্রয়ের জন্য একটি জগৎ তৈরি করেছেন এবং সেইসাথে তাদের প্রতি আমাদের মমত্ববোধের উন্মেষ ঘটাতে চেয়েছেন। একজন প্রতিবন্ধী শিশুর জীবনে কতোটা লাঞ্ছনা আসতে পারে তা সুভা গল্পে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের মূলে রয়েছে পরিবার, সমাজ এবং কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য। সমাজের সর্বস্তরে এরূপ একটি বিশ্বাস আছে যে, প্রতিবন্ধীত্ব একটি অভিশাপ এবং এটি পাপ কাজের শাস্তি যা প্রতিবন্ধীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ যত্ম, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা এবং অংশগ্রহণের সুযোগকে প্রভাবিত করে। এমন ধারণা থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। সুভা গল্পে পরিবারের লোকেরা সুভার বাক-প্রতিবন্ধকতাকে একটি অভিশাপের চোখে দেখেছে। এরূপ নেতিবাচক চিন্তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে। 

৩. আমার চেনা একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের বেড়ে ওঠার প্রতিবন্ধকতাসমূহ:
আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক শিশু দেখা যায় যারা স্বাভাবিক শিশুদের মত হয় না। তাদের আচার আচরণ ও দৈহিক গঠন স্বাভাবিকের তুলনায় ধীর এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ, সমস্যাগ্রস্ত। এর মধ্যে অনেকেই আছে যারা ভালােভাবে চোখে দেখতে পায় না। কারও কারও হাঁটাচলা করতে অসুবিধা। কিছুশিশু আছে যারা ঠিক মত কথা বলতে পারে না। আবার অনেকেই আছে যারা অন্যের কথা শুনতে পায়না। আবার কেউ কেউ আছে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যারা অনেক বড় হয়েও ছােটদের মতাে আচরণ করে। আমার চেনা একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু রয়েছে। সে একা একা তার দিনাতিপাত করে। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় কেউ তার সাথে মিশে না, খেলে না। এমনকি কেউ তার সাথে কথাও বলতে চায় না। 

 

  •  পরিবারঃ প্রথমত, এদের প্রতিবন্ধকতার প্রধান কারণ হলাে পরিবার। যেকোনাে মানুষের সামাজিক অবস্থান তৈরি হয় পরিবার থেকেই। কিন্তু এই পরিবারই অনেক সময় প্রতিকূলতার সৃষ্টি করে। 
  • সমাজঃ সমাজে বিকশিত হওয়ার দ্বিতীয় প্রতিবন্ধকতা হলাে সমাজ। কারণ সামাজিক ধ্যান ধারণার উপর নির্ভর করে এইসব শিশুদের ভবিষ্যৎ। আর সমাজই যদি তাদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহন না করে, তাহলে এ ধরনের মানুষের জীবনে আরাে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে।
  • সমবয়সীরাঃ সমবয়সীরা আরেকটা প্রতিবন্ধকতা। দেখা যায়, সমবয়সীরা তাদের সাথে মিশতে চায় না। তাদেরকে অবহেলার চোখে দেখে। এটিই তাদের বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা
  • বৈষম্য ও কুসংস্কারঃ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজে বিকশিত হবার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হল বৈষম্য ও কুসংস্কার। সমাজের সর্বস্তরে এরূপ একটি বিশ্বাস আছে যে, প্রতিবন্ধীত্ব একটি অভিশাপ এবং এটি পাপ কাজের শাস্তি। এরূপ বিশ্বাস বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজে বিকশিত হলে বাধা সৃষ্টি করে।

৪. "একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষেরও সংবেদনশীল ও অনুভূতিপ্রবণ মন আছে।" - কথাটির বিশ্লেষণ করা হল-

সুভা বাকপ্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও সে চাইতাে তার কিছু বন্ধুবান্ধব থাকুক। যাদের সাথে সে ইশারায় গল্প করবে, মনের ভাব প্রকাশ করবে। সে চায় তার মা তাকে বােঝা না ভাবুক। ভালােবেসে যেনাে তাকে কাছে টেনে নেয়। কিন্তু যখন তার ভাগ্যে এসব জুটলাে না, তখন সখ্যতা গড়ে উঠলাে প্রকৃতির সাথে। প্রকৃতি যেনাে তার সকল অভাব পূরণ করে দিতাে, যেনাে তার হয়ে কথা বলে, নদীর কলধ্বনি, লােকের কোলাহল, মাঝির গান, পাখির ডাক, তরুর মর্মর সমস্ত মিশে চারদিকের চলাফেরা-আন্দোলন-কম্পনের সাথে এক হয়ে সমুদ্রের তরঙ্গের ন্যায় সুভার চির নিস্তব্ধ হৃদয় উপকূলের কাছে এসে  ভেঙ্গে পড়তাে। তার বন্ধুত্ব ছিল প্রাণীদের সাথে। গােয়ালের দুটি গাভী। মানুষের সাথে তার ভাবের বিনিময় না হলেও, ভাষাহীন প্রাণী আর প্রকৃতির সাথে ঠিকই হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে সুভা। কাজের ফাঁকে যখনই সময় পেত নির্বাক প্রকৃতি ও গাভীদের সাথে সময় কাটাত।  তাই বলা যায়, একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষেরও সংবেদনশীল ও অনুভূতিপ্রবণ মন আছে- মন্তব্যটি সুভা ও আমার চেনা/জানা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের পরিপ্রেক্ষিতে যথার্থ।

Category: 

Zircon - This is a contributing Drupal Theme
Design by WeebPal.